News TopLink logo

  তাবেদারী নয়, সত্যের মুখোমুখি |
Ad Image Here



এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |




এই খবরের কোনো ছবি নেই |

ভারত ও বাংলার সীমানা ভেদ করলো নুসরাত ও যতনের ভালোবাসা

Thursday, November 26, 2020
  


বক্সনগর প্রতিনিধি:- ------------- ------------- আন্তর্জাল ভেদ করেও নুসরাত ও যতনের ভালোবাসার, ভালোবাসা নাকি অন্ধ, বয়স,কাল, স্থান,পাত্র, ধর্ম কিছুই পরোয়া করে না। হয়তো এই কারণেই বাংলাদেশের 22 বছরের মুসলিম তরুণী ভালোবাসার টানে ভারত-বাংলার সীমান্ত টপকে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকের কাছে ভালোবাসার টানে চলে আসে। তাও আবার দালালের হাত ধরে। দুই ভিন্ন দেশের যুবক যুবতীদের মধ্যে সোস্যাল মিডিয়ার অর্থাৎ ফেসবুক, ইমুর মাধ্যমে ভালোবাসার টানে প্রেম বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু একে তো ভিন্ন দেশ এবং অপরদিকে পৃথক ধর্মের ফলে উভয়ের কাছে বাধা হয়ে দাড়ায়। তবে দুজনের এমন প্র‍েম বন্ধনের ফলে শুরু হয়ে যায় অন্য এক ভালোবাসার কাহিনী। এই ভালোবাসার টানে বাংলাদেশের যুবতী নিজের দেশ ছেড়ে সীমান্ত দালালদের হাত ধরে ভারতে চলে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়,    সোমবার বাংলাদেশের সিলেট জেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মন্তাজ আলীর মেয়ে নুসরাত জাহান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কলম চৌড়া থানাধীন আশাবারি গ্রামের খোকন সূত্রধর ছেলে যতন সূত্রধরের প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ভারতের নিয়ে আসেন। এই দুই সম্প্রদায়ের ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পেরে তাদেরকে গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কথা বলে। আর তাতেই দুই যুবক-যুবতী, যুবকের আশাবাড়ি গ্রাম এলাকা ছেড়ে  রহিমপুর বাজার পর্যন্ত যেতেই এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে আসল ঘটনা জানতে পারে। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় কলমচৌড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দুই সম্প্রদায়ের প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে ও ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পড়ে আশাবাড়ি বি.ও.পি'র বি.এস.এফ. জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে পুলিশ ও বি.এস.এফ. কে রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলীয় প্রধান আক্তার হোসেন ম্যানেজ করে যুবক যতন সূত্রধর কে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। অপরদিকে বাংলাদেশের যুবতীটি কেও প্রধানের অধীনে নিয়ে যায়, বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। তবে গোটা ঘটনাটিই যে প্রধান বাবু এক প্রকার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেটা সকলের উপস্থিতিতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে প্রশ্ন উঠছে কিভাবে একটি যুবতীকে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে? তবে কি সীমান্তে পাহারারত জওয়ানরা শীতঘুমে ছিল? নাকি মোটা অন্কের টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করা হয়েছে? সেটাও প্রশ্ন উঠছে। তবে এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে যুবক-যুবতীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতের যুবক যতন সূত্রধর দীর্ঘদিন ধরে দুবাইতে প্রবাসী ছিল। অপরদিকে বাংলাদেশের যুবতী নুসরাত জাহানও সৌদি আরবে প্রবাসী ছিল। আর তখনই তাদের রং নাম্বারে কথোপকথন হয়। দুজনের মধ্যে গভীর ভালোবাসা তৈরী হয়। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে এমন হয়ে ওঠে, যেন দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচবে না। শেষ পর্যন্ত বিএসএফ ও বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে নুসরাত জাহান ভারতে চলে আসে। জানা যায়, তারা দুজনেই ফোনে বিয়ে করে নিয়েছে। মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে মেয়েটি বাড়িতে আসে। অন্যদিকে ভারতের যুবক দুবাই থাকে গত তিনমাস আগে বাড়িতে আসে। আর তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেয় আনুষ্ঠানিক ভাবে আবার বিয়ে করার। কিন্তু বাঁধা ছিল দুই দেশের কাঁটাতারের বেড়া। শেষ পর্যন্ত এটাকেও ভেদ করে সফল হতে পারেনি দুই সম্প্রদায়ের যুবক যুবতী। শেষ পর্যন্ত আইনের লোকেদের বসিয়ে রেখে দায়িত্বটা যেন প্রধান বাবু নিয়ে নেন। এবং পুলিশ,বিএসএফরাও প্রধানের হাতেই দায়িত্ব তোলে দিয়ে যেন হাত ধোয়ে নিয়েছেন। তবে খবর লেখা অবধি জানা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার প্রধান বাংলাদেশের যুবতী নুসরাত জাহানকে এখনো বাংলাদেশে পার  করেনি, সূত্রে খবর সাম্প্রতিককালে প্রদানের কুকর্মের কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়, তার কুচরিত্রের কথা এলাকাবাসীর জানার আর বাকি নেই, তবে জনমনে প্রশ্ন প্রধান সাহেব কি কারনে এই মেয়েটাকে এখনো তার বাড়িতে আটকে রাখলেন,  কি তার উদ্দেশ্য?