News TopLink logo

  তাবেদারী নয়, সত্যের মুখোমুখি |
Ad Image Here



এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |

ভালোবেসে বিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণ , বিষ পান করে আত্মহত্যা

Tuesday, July 18, 2023
  


বক্সনগর প্রতিনিধি:--ভালোবাসা মানে না শাসন বারণ, মানে না জাতি ধর্ম ,ভালোবাসায়,অন্ধ হয়ে বয়সের ধার ধারে না ।এমনই একটি ভালবাসার স্বপ্নের জালে আবদ্ধ হয়ে অল্প বয়সে বিবাহ হয় উত্তর কলমচৌড়া ১ন শঙ্কর ধরে র কন্যা গীপা ধরের সহিত একই পাড়ার অজয় বিশ্বাসকে ভালোবেসে বিবাহ করেন। ২০১৮ সালের ঘটনা তৎকালীন সময়ে মেয়ের বয়স বড় জোর ১৩-১৪ হবে এবং ছেলের বয়স ১৬ থেকে ১৭ হবে। ছেলের বাবা তথা ছ্যাতিয়ান্টলা নিবাসী, প্রমানন্দ বিশ্বাস ওই সময় তাদের দুজনের ভালোবাসা মনে প্রানে মেনে নেননি ।এবং উনি বিবাহতে মত ছিল না কিন্তু মেয়ের এরকম অন্ধ ভালবাসা যে সে ছেলেকে ছাড়া বিয়ে করবে না এবং বাড়িতেও যাবে না এইরকম পরিস্থিতি র মধ্যে পালিয়ে আসে বিয়ে করবে তার কোন ভাবে বুঝতে পারিনি ।কিন্তু বাধ্য হয়ে সামাজিকভাবে মেয়ের পরিবার মানতে বাধ্য হয়। তারপর সামাজিকভাবে পাড়াতেই বিয়ে হয়। বিয়ের দুই আড়াই বছর পর মেয়ের গর্ভে একটি পুত্র সন্তান সৃষ্টি হয় বর্তমানে শিশু সন্তানের বয়স ১৭ মাস। বিয়ের দুই তিন বছর মোটামুটি ভাবে সংসার ভালোই চলছিল কোন অশান্তির কোন খবর নেই। তারপর হইতে ই পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয় বিশেষ করে মেয়ের বয়স এতটাই কম ছিল যে সে নিজের স্বামী এবং শশুর শাশুড়িকে বোঝার কোন বয়স নেই এবং সংসার কি সে নিজেই বুঝতে পারে না তাহলে শ্বশুর শাশুড়ি এবং স্বামীকে কিভাবে বুঝাবে প্রায় সময় টুকটাক নিয়ে সংসারের ঝামেলা লেগেই থাকতো। অনেক সময় শাশুড়ি এবং বউ গীপাধরের সঙ্গে ঝগড়া হতো সেই ঝগড়া মীমাংসা করত শশুর প্রাবানন্দ বিশ্বাস এদিকে ছেলেকে মেন্টেন করতে না পেরে অবশেষে শেষ অবধি তাদেরকে সাংসারিক ভাবে আলাদা করে দেওয়া হয় তারপরও অশান্তি। গত ৯-৭-২০২৩ তারিখে কৃপা ধর নিজ বাড়িতে গাছের ওষুধ পান করে। অবস্থার বেগতিক দেখে বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকে বক্সনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে আগরতলা হাঁপানিয়া হসপিটাল এর রেফার করা হয়। অবস্থার বেগতিক দেখে হাঁপানিয়া থেকে জীবিত এর ব্যবহার করা হয় গত ৭ ২০২৩ ইং তারিখে গীতা দর মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ওই দিনই শেষ নিঃস্বার্থ ত্যাগ করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ঐ দিনকার বিষপানের পেছনে মূল কারণ ছিল নিজ শিশুকে মা অতিরিক্ত মারার কারণে তখন শিশুর বাবা অজয় বিশ্বাস গীপাধরকে দু-চারটি চড় থাপ্পর মারে এবং মোবাইল নিয়ে উপর থেকে আচার মেনে মোবাইলটা ভেঙে দেয় তাকে কেন্দ্র করে বিষ পান এর ঘটনা। শঙ্কর ধর মেয়ের ভালবাসার কাহিনীকে কেন্দ্র করে এর আগে অভিমানে খুবই ইজ্জত মান সম্মান চলে গেছে বলে সে সাথী তিলা থেকে জাগা জমি বাড়িঘর বিক্রি করে আগরতলা বটজলা কল্যাণপুর পাড়া বসতি স্থাপন করেছে। বর্তমানে সে ওই জায়গাতে থাকে। গীতা দরের মা শ্রীমতি স্বপ্না তোর দেব তিনি অভিযোগ করেন যে আমার মেয়েকে শাশুড়ি মিঠু বিশ্বাস এবং জামাতা অজয় বিশ্বাস শশুর প্রমানন্দ বিশ্বাস মিলে কলা কৌশল করে বিষ পান করতে বাধ্য করেন। সেই কারণেই নাকি উনার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে উনি এও বলেন যে প্রায় সময় বিভিন্ন জিনিসের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং জিনিসগুলি দেওয়ার জন্য বলতো। সুএ মোতাবেক সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবে আমরা খবর পেয়েছি এই পরিবারের বিষপানের আত্মহত্যার মূলত কারণ একটাই সেটা হচ্ছে নাবালিকা বিয়ে এবং নাবালক বিয়ে করার কারণেই কেউ কাউকে মেনে নিতে পারেনি শশুর শাশুড়িকে বুঝাতে পারেনি যার কারণে আজকে দুটো সংসার চিরতরে বিসর্জন হয়ে গেল এবং ধ্বংসের পথে। ত্রিপুরা সরকার এবং প্রশাসক আইন বার বার আমাদের সমাজ দেশ রাষ্ট্রের সমস্ত সভবুদ্ধি নাগরিক এবং অভিভাবকদের অনুরোধ করছে যে আপনারা নাবালিকা বিয়ে দিবেন না এবং বিয়ে করাবেন না পরিণতিতে আজকে সেই কাহিনী মত অনেক ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে মেয়ের মা শ্রীমতি স্বপ্নধর দেব কলম চৌড়া থানায় মামলার রজু করেন ।তিনি এও আশাবাদী প্রশাসনের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের যেন সাজা হয়। কিন্তু নিষ্পাপ শিশুটির কি অবস্থা হবে শিশুর ভবিষ্যতে বা কি হবে এই নিয়ে হাজার প্রশ্ন।