News TopLink logo

  তাবেদারী নয়, সত্যের মুখোমুখি |
Ad Image Here



এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |

খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত চাষীরা

Thursday, December 14, 2023
  


নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় গোটা সোনামুড়া মহকুমা জুড়ে কাঁঠালিয়ায় সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।তবে,গাছিয়ারদের মন-মানসিকতা তেমন ভালো নয়। প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারণে এখনো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত,কখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়।এ নিয়ে মানসিক হতাশা নিয়েই গাছিয়ানরা গাছ কাটছেন সামান্য খেজুরের রসের আশায়।কারণ,খেজুরের রস শীতের মরশুমে এটা বাঙালি চিরাচরিত ঐতিহ্য।কেননা,পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সমাজের সব মানুষেরই পিঠেপুলি খাওয়ার জন্য লালির প্রয়োজন হয়।সোনামুড়া মহকুমার বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় যথেষ্ট খেজুর গাছ এখনো আছে। যদিও সংখ্যায় আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।খেজুর গাছ কাটার গাছিয়ালরা অতীতের তুলনায় সংখ্যায় অনেক কম।নতুন করে কেউ খেজুর গাছ কাটার জন্য এগিয়ে আসে না।পুরানো গাছিয়াল অনেকেই মরে গেছে , যাই আসে তারাও হতাশায় ভুগছে। তবু,বছরের মৌসুম অভ্যাসের দায় বলা চলে। সংখ্যায় কম করে গাছ কাটতে ইচ্ছে হওয়ায় এই কাজে হাত লাগায়।সংবাদ কর্মীদের কাছে পেয়ে কাঠালিয়া ব্লক এলাকার উত্তর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার সীমান্ত গেসা আই বি বি রোডের পাশে হাতে গোনা ১০ থেকে ১২ টি খেজুর গাছ রয়েছে এগুলি কেটে যা রস সংগ্রহ হয় তাই বিক্রি করেন গাছিয়াল নিরঞ্জন সরকার। তিনি পেশায় কৃষক, সামান্য কৃষিজমিও রয়েছে। তবু ২০ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটা তার পেশা এবং অভ্যাস। বিকেল বেলায় গাছ কাটার সময়ে সংবাদকর্মীকে কাছে পেয়ে জানান,নানা কারণে এবার খেজুরের লালি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি করতে হবে। না হয় পুষানো সম্ভব হবে না। কারণ সম্পর্কে তিনি জানান,সমস্ত জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে।যেমন, পোড়ামাটির হাড়ি কিনতে হয় ৫০ টাকা ধরে,একটি দা কিনতে হয় ৮০০ টাকা,এছাড়া লাকড়ি সংগ্রহ করা অনেক কষ্টকর। তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সে এই কাজ করা আগামী বছর সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া খেজুরের রস আগের মত বিক্রি হয় না এখন। শুধুমাত্র লালি বিক্রি হয়!তাও একটা সময় চাহিদা বৃদ্ধি পায় মানুষের কাছে। যেমন পৌষ মাসের মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে, অন্য সময় খুব একটা বেশি আগের মতন চাহিদা থাকে না। কারণটা সম্পর্কে তিনি যতটুকু বুঝে নিচ্ছেন তা হলো মানুষের রুচিবোধ অনেকটাই যেন কমে গেছে এমনটাই তিনি সংবাদ কর্মীকে কাছে পেয়ে জানান।