News TopLink logo

  তাবেদারী নয়, সত্যের মুখোমুখি |
Ad Image Here



এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে রেল যোগাযোগ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে: মুখ্যমন্ত্রী

Monday, February 26, 2024
  


আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মানুষের সার্বিক কল্যাণে কিভাবে কাজ করা যায় সেটা নিয়ে সবসময় চিন্তাভাবনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মানেই উন্নয়নের নিশ্চয়তা। উন্নয়ন ছাড়া তিনি কথা বলেন না। ডাবল ইঞ্জিনের সরকারও সবসময় উন্নয়ন নিয়েই কথা বলে। কারণ উন্নয়ন ছাড়া কিছু হবে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রিপুরার জন্য হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন তিনি। খুব সহসাই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সঙ্গে আগরতলার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে সাব্রুমের মৈত্রী সেতু চালু হলে ত্রিপুরার চেহারাই পাল্টে যাবে। আগরতলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে আজ সকালে আগরতলা রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণ সহ একাধিক প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই উপলক্ষে আজ আগরতলা রেলষ্টেশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগরতলা রেলষ্টেশন সহ দেশের ৫৫৪টি রেলষ্টেশন পুনর্বিকাশ ও ১৫০০ রোড ওভার ব্রিজ এবং আন্ডারপাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসকল প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয় ৪১ হাজার কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরা সহ সারা দেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা কখনোই ভাবিনি যে ত্রিপুরা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস এবং ভিস্তাডমের মতো ট্রেন চলবে। আগরতলা থেকে এখন দেশের বিভিন্ন প্রদেশে নিয়মিত এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। আমাদের কাছে এখন প্রায় ১৭/১৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে যা বিভিন্ন রাজ্যকে সংযুক্ত করছে। অথচ আগে আমাদের গুয়াহাটি বা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া রেলস্টেশনে যেতে হতো। সেই জায়গায় এখন আমরা ত্রিপুরা থেকে বিভিন্ন রাজ্যে সরাসরি যাতায়াত করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় গ্যারান্টি প্রদান করেন। আর সেই গ্যারান্টির ফল আমরা এখন দেখতে পারছি। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য তিনি অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি চালু করেছেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। রেল পরিষেবার সামগ্রিক উন্নয়নে প্রথম ধাপে দেশের ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য আর্থিক বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্যে উত্তর-পূর্বের জন্য ৯১টি রেলস্টেশন রয়েছে। এই পর্যায়ে ত্রিপুরায় ধর্মনগর, কুমারঘাট এবং উদয়পুর সহ তিনটি স্টেশন ৯৬.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৫৫৪টি রেলস্টেশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে উত্তর-পূর্বে ৭টি স্টেশন রয়েছে এবং আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা রেলস্টেশন যে বিশ্বমানের রেলস্টেশনে পরিণত হবে তা আমরা কখনই ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন আমরা মানুষের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আগে আমরা দেখেছি কীভাবে উত্তর-পূর্বকে অবহেলিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন উত্তর-পূর্ব উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাকে হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানে উন্নয়ন। আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার সব সময় উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে কাজ করছে। রেলওয়ের বিদ্যুতায়নের কাজও প্রায় শেষ। আমরা ডাবল লেন রেল ট্র্যাকের দাবি জানিয়েছি এবং এই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বিদ্যুতায়নের পরে বন্দে ভারতও চলাচল করবে এখান থেকে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামীতে ত্রিপুরার ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল। মৈত্রী সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে ত্রিপুরার চেহারা আমূল বদলে যাবে। এটি তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে বিশ্বের যেকোন জায়গায় পৌঁছানো আরো সহজ হবে। আজ ভারতকে এক উচুঁ মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি - ২০'র সময়ে সারা বিশ্ব আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ত্রিপুরাও এখন বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলছে। রেল যোগাযোগ থেকে শুরু করে জাতীয় সড়ক, বিমান যোগাযোগ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আগরতলার অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক মীনা রানি সরকার, পদ্ম পুরষ্কারে সম্মানিত রাজ্যের তিন জন ব্যক্তিত্ব স্মৃতিরেখা চাকমা, চিত্ত দেববর্মা ও বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়া, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার প্রেম রঞ্জন কুমার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আয়োজিত বসে আঁকো, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়।