পুলিশের হাতে আটক অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী ৮ অভিযুক্ত ,ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকায় বিএসএফ !
Monday, November 04, 2024
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাব্রুম থানার পুলিশের হাতে আটক অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী ৮ অভিযুক্ত । ঠিক যখন রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তরকে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর-বাংলাদেশী জঙ্গিদের টার্গেট বাংলার ৭ জেলা, তৈরি হচ্ছে JMB জঙ্গিদের মডিউল,চলছে বাংলাদেশী এবং এদেশের সংখ্যালঘুদের মগজ ধোলাই, ঠিক তখনই সাব্রুমের ভারত বাংলা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কালে সাব্রুম থানার পুলিশের হাতে আটক ৮ অভিযুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে দুজন পুরুষ, তিনজন মহিলা, দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে সহ একটি শিশু।জানা যায় সোমবার দুপুর দুইটা পাঁচ মিনিট নাগাদ সাব্রুম থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে সাব্রুমের পূর্ব প্রান্তের জলকুম্বা এলাকার ভারত বাংলা সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশ করে ওই আট জন অভিযুক্ত।
খবর পাওয়ার সাথে সাথে সাব্রুম থানার পুলিশ অফিসার রাজীব মজুমদার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে সমর্থ হয়। সাব্রুম থানায় নিয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় এদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার মুহুরিপুর এলাকায়। এবং বাকিরা সবাই বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি ডিস্ট্রিক্টের জগন্নাথপাড়া এলাকায়। অভিযুক্তদের সাথে কথা বলে জানা যায় বাংলাদেশে চলতে থাকা হিন্দুদের উপর নির্যাতনের কারণ হেতু ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছে ওই দেশের হিন্দুর জনগণ এবং সেখানকার দুই উপজাতি টাউট তাদের সাহায্য করে অবৈধভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে। বর্তমানে তাদের সাব্রুম থানায় রাখা হয়েছে। আগামী দিন অভিযুক্তদের প্রেরণ করা হবে সাব্রুম আদালতে।
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা গুঞ্জন শুরু হয় সাব্রুমের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের মধ্যে। জনগণের বক্তব্য ভারত বাংলা সীমান্তে প্রতিনিয়ত চলছে বিএসএফের টহলদারী। রয়েছে কাস্টমসের নজরদারী।কিন্তু তারপরও বন্ধ নেই সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ চোরাকারবাড়ির মত অনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রতিনিয়ত বারমিস সিগারেট,ইয়াবা, ক্যান্সারের ঔষধ,বহুমূল্যবান অপারেশনের সরঞ্জাম ইত্যাদি অনৈতিকভাবে পাচার হচ্ছে সাব্রুম সীমান্ত দিয়ে।কিন্তু এ ধরনের চোরাকারবারি রোধে সক্রিয় ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না বিএসএফের পক্ষ থেকে।প্রতিনিয়ত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ এর ঘটনা। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী সীমান্তে চোরাকারবারের বিষয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞাত হয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন সাব্রুমের কাস্টমসের কর্তা ব্যক্তিরা। কি কারণ রয়েছে এর পিছনে। কান পাতলে শোনা যায় অর্থনৈতিক লেনদেনের আভাস। সব মিলিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বেজায় শঙ্কিত সাব্রুম মহকুমা বাসী।