News TopLink logo

  তাবেদারী নয়, সত্যের মুখোমুখি |
Ad Image Here



এই খবরের কোনো ভিডিও নেই |

কৃষ্ণপুর স্কুলের ঘটনাকে ঘিরে মন্ত্রীর পৌরহিত্য যৌথ বৈঠক

Monday, November 18, 2024
  


নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষ্ণপুর উচ্চ বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবিকা দের মধ্যে যে কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনা কে কেন্দ্র করে স্কুলের মধ্যে এসএমসি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবক অভিভাবিকা নিয়ে বৈঠক হয় সোমবার । এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন দীপা দেব সহ বিদ্যালয় পরিদর্শক সহ এসএমসির কমিটি। উল্লেখ্য, কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ক অনিয়মিত শিক্ষক বিপুল বিশ্বাস বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করায় শিক্ষককে জুতো ঝাঁটা পেটা করলো এলাকাবাসীসহ ছাত্রীরা। অভিযোগ মূলে জানা গেছে, বিপুল বিশ্বাস নামের কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক "সিভিন লার্নিং চ্যাট প্রাইভেট লিমিটেড"- কোম্পানির চুক্তিবদ্ধ কর্মী হিসেবে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় যোগদান করার পর থেকেই নাকি ছাত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। আজ থেকে বিগত ছয় মাস পূর্বে নাকি এক ছাত্রীর সঙ্গে কোন এক বিষয় নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছিল বিদ্যালয়ে চত্বরে। কিন্তু বিদ্যালয়ের এস.এম.সি কমিটির বিদ্যালয় চত্বরে সভা করে ঘটনাটি রফা দফা করেছিল। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে ওই শিক্ষক নাকি কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পরই ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা সহ অভিভাবকদের ঘটনা সম্পর্কে অবগত করলে প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মা কোন এক অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ ছিলেন। পরবর্তীতে উত্তেজিত অভিভাবকেরা এবং ছাত্রছাত্রীরা মিলিতভাবে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে রাম ধোলাই দেয়। রামধোলাইয়ের মাত্রা এতটাই ছিল যে, ছাত্র ছাত্রীরা এবং অভিভাবকেরা ঐ শিক্ষককে অর্থনগ্ন করে জুতো, ঝাঁটা এবং বাঁশ দিয়ে দফায় দফায় শিক্ষকের উপর প্রহার করে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলায় ছুটে যায় বিদ্যালয়ের এস.এম.সি কমিটির সহ তেলিয়ামুড়া থানার খাঁকি বাহিনী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষক বিপুল বিশ্বাসকে থানায় নিয়ে আসে, যদিও পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় শিক্ষকের নাম ধাম দিয়ে অভিযোগ করা হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী আচমকাই অসুস্থতা বোধ করায় তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। ‌ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিদ্যালয়ে গৃহকক্ষে এসএমসি কমিটির উদ্যোগে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা , বিদ্যালয় পরিদর্শক,অভিভাবক অভিভাবিকা, শিক্ষক শিক্ষিকা, এস এমসি কমিটি মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ওইদিনের ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত নিজেদের মধ্যে দীর্ঘক্ষন আলোচনা করে। আলোচনায় বেরিয়ে আসে আইন আইনের পথে চলবে।